দ্বারকেশ্বর নদ থেকে অবৈজ্ঞানিক ভাবে মেশিন দিয়ে চলছে দেদার বালি উত্তোলন

6th January 2021 7:04 pm বাঁকুড়া
দ্বারকেশ্বর নদ থেকে অবৈজ্ঞানিক ভাবে মেশিন দিয়ে চলছে দেদার বালি উত্তোলন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  নদী থেকে অবৈজ্ঞানিক ভাবে মেশিন দিয়ে যথেচ্ছ বালি উত্তোলন। শুধু বালি উত্তোলন নয় ওভারলোডিং বালি পরিবহনের জেরে ভেঙ্গে পড়ছে একাধিক গ্রামের রাস্তা। অতিষ্ট এলাকার মানুষ।  বালি কারবারী বা বালি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার নদী ঘাটগুলিতে। জেলা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নদী থেকে জেসিবি, পাম্প লোডার দিয়ে দিনরাত বালি উত্তোলন হচ্ছে। নদীর থেকে সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া ভাবে বালি উত্তোলন চলছে সকলের নজরের সামনেই। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় এমন ছবি নজরে পড়ছে। শুধু ইন্দাস নয় দ্বারকেশ্বর নদের বিভিন্ন এলাকায় বালি খাদ থেকে সরকারী আইন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন বালি কারবারীরা। নদী থেকে শুধু বালি তোলা নয় বালি পরিবহন ক্ষেত্রে কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেন না কারবারীরা। ওভার লোড করে দিন ভর বালি গাড়ি করে সরবরাহ হচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে । আর তার জেরে গ্রামের রাস্তা ঘাটের দশা বেহাল হচ্ছে । প্রতিবাদ করলেও হয়নি কোন সুরাহা । প্রশাসনকে জানালে মাঝে মাঝে প্রশাসনের ধরপাকড় ব্যস এতেই কাজ শেষ । ফের শুরু হয়ে যায় বালির রমরমা কারবার । বাধ্য হয়ে এদিন ইন্দাস ব্লকের এবিভিপি ছাত্রছাত্রীরা বালি মাফিয়াদের বেআইনিভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে বলায় বালি মাফিয়ারা এবিভিপি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপক মারধর করে এমনই অভিযোগ করছেন এবিভিপি ছাত্রছাত্রীরা । তাদের অভিযোগ সরকারী বেধে দেওয়া পরিসীমার বাইরে থেকে বালি কারবারীরা বালি উত্তোলন করে রমরমা বালির কারবার করছেন । সরকারি নিয়ম কে বূড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নদীর গতিপথে মেশিন নামিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি উত্তোলনের কারবার চলছে এর ফলে নদীর গতিপথ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । অতিরিক্ত বালি বোঝাই করে দিনরাত চলছে বড় বড় গাড়ি করে বালি পরিবহন , এর ফলে গ্রামের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।